Skip to content

মামুন মুস্তাফার তিনটি কবিতা

    Sangkranti

    Sangkranti

    চিন্তার মুক্তিই সংক্রান্তি

    বসুন্ধরা

    শূন্যের ছায়া বেড়ে ওঠে সূর্যের বিপরীতে
    ঘাম ঝরে…শ্বাস বাড়ে…গতি স্তব্ধ
    ভাঙা জাহাজের নাবিকের মাস্তুলে,
    ওইদিকে প্রান্তহীন শস্যক্ষেত্র
    বুনে দেয় আদিগন্ত হিমরেখা;

    তুমি কী টের পাচ্ছ এখন?

    রক্তের ভেতরে নৃত্য করে অনুসূয়া
    স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠে কিছু
    বালিহাঁস…লু হাওয়া…নদীর খাড়ি
    সপ্তর্ষি-নীরে জল খোঁজে বসুন্ধরা।

    আমি তখন পলাতক,
    তুমি চাণক্যনগরের বনিতা।

    মানুষমুখ

    ইলিশের মৃত চোখে জ¦লে ওঠে রসুই ঘর
    বাহারি ব্যঞ্জনে ধ্যানমগ্ন শাদা বাড়ি,
    বেলা পড়ে আসে,
    এস্রাজের ধুনীতে সঙ্গীতের সপ্তম শ্লোক,
    সেখানে নেই কোনো উৎকীর্ণ মানুষ!
    তবু সন্্ধে ঘিরে যে রাত নামে
    তার নির্জন শিথানে ধ্যানস্থ খঞ্জ পৃথিবী।

    হাওয়ার বাতাসে ওড়ে কতিপয় মানুষমুখ
    যার কোনও ঝংকার নেই,
    বেড়ে যায় ধুলোর জীবন।

    দাঁড়াও

    দাঁড়াও, বিষণ্ন চুম্বন খুলে রেখে যাই,
    যা কিছু শব্দেরা ভেঙে পড়ুক, দেখুক
    শ্যাওলা জমা দেহ, চূর্ণ থামের নিচে
    কলাবতী রোদ, সন্ন্যাসী সংসার!

    শুয়ে আছে ঠাণ্ডা, হিম
    ভুলভুলাইয়া মন নিয়ে
    ছলনার পা দূরে, ডেকে
    যায় গভীর নিশিথ…

    আমরা রক্তে মিশে আছি
    পূর্বপুরুষের হাতছানিশোঁ শোঁ
    কবরের মাটিটুকু উঠে আসে
    দাঁড়াও, শিথানের পাশে কিছু স্বপ্ন বুনে যাই।

    Author

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Share this post on social!